কেন কিনবেন আইফোন ১৬ সিরিজ এর যেকোনো ফোন!!!

কেন কিনবেন আইফোন ১৬ সিরিজ এর যেকোনো ফোন!!!

ইতোমধ্যেই আইফোন ১৬ সিরিজের সবগুলো ডিভাইস লঞ্চ হয়ে গিয়েছে এগুলো হলো আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স।  প্রিভিয়াস জেনারেশনের ডিভাইসগুলোর থেকে এবারো থাকবে বেশ কিছু পরিবর্তন। আসুন আজকের ব্লগে আমরা জেনে নেই নতুন কী পরিবর্তন থাকছে অ্যাপেল এর লেটেস্ট এই ডিভাইসগুলোতে।

প্রথমেই যদি ডিজাইন নিয়ে আলোচনা করি, এবার ১৬ সিরিজে ডিজাইনে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এর বেইজ মডেল এ। ব্যাকসাইডে এবার ১৬ এবং ১৬ প্লাসে থাকছে  পিল শেইপ ক্যামেরা ডিজাইন, তবে প্রো মডেল এর ব্যাক ডিজাইন আগের মতই থাকছে। গতবারের মত এবারো রেগুলার মডেল গুলো আলমুনিয়াম এবং প্রো মডেলে টাইটেনিয়াম বিল্ড এর। 

ডিসপ্লে সাইজ এ বেইজ মডেল এ তেমন কোনো পার্থক্য নেই তবে প্রো মডেল এর ডিসপ্লে গুলো আগের জেনারেশনের চেয়ে লার্জার। 

আইফোন ১৬ এর প্রো মডেলে এ ৬.৩” এবং প্রো মেক্স এ দেয়া হয়েছে ৬.৯” এর ডিসপ্লে। বেইজ মডেলে এ থাকছে ৬০ হার্জের এবং প্রো মডেলে এ থাকছে ১২০ হার্জের রিফ্রেস রেট. প্রো মডেল গুলোর ব্যাজেলে আগের থেকে বেশ চিকন হওয়ায় ডিসপ্লেটি আরো বেশি বড় মনে হয়। তবে এবার ডিসপ্লে প্রোটেকশনে ব্যবহার করা হয়েছে Ceramic Shield glass (2024 gen). যা আগের জেনারেশনের থেকে ৫০% বেশি সুরক্ষা দিবে ডিভাইসগুলোকে। 

ক্যামেরা সেকশনে বেইস মডেলগুলোতে এবার তেমন কোনো পরিবর্তন থাকছেনা। প্রো মডেলে মেইন ও টেলিফোটো ক্যামেরা আগের মতই রয়েছে তবে এবার নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা। যা দিয়ে এখন আরো হাই রেজুলেশনে ছবি তোলা সম্ভব। 

তবে এবার সবচেয়ে বড় চমক হলো সবগুলো ডিভাইসেই দেয়া হয়েছে নতুন ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটন। এই বাটনে ক্লিক করলেই সরাসরি ক্যামেরা অন হয়ে যাবে এবং আপনি ফটো বা ভিডিও শ্যুট করতে পারবেন। এই বাটনটা দিয়ে ট্যাপ করে লো প্রেস অথবা হাই প্রেসের মাধ্যমে আপনি জুম ইন আউট, এক্সপোজার চেঞ্জসহ ডেপথ অফ ফিল্ড কেও চেঞ্জ করার মত ইম্পর্ট্যান্ট কাজগুলো করতে পারবেন।  বাটনটি Portrait এবং Landscape, ২ ভাবেই Use করা যাবে!  

আইফোন ১৬ সিরিজে এবার বেইজ মডেলগুলোতে থাকছে অ্যাপেল এর নতুন চিপসেট – অ্যাপেল আইওএস১৮ এবং প্রো মডেলে এবার থাকছে নতুন অ্যাপেল আইওএস১৮ প্রো চিপসেট। দুইটি চিপসেট ৩ ন্যানোমিটার ফেব্রিকেশনে বিল্ড করা।  নতুন আইওএস১৮ – হেক্সা কোরের এই প্রসেসরটিতে আছে ৬ টি সিপিউ কোর, ২ টি পারফরমেন্স কোর এবং ৪ টি এফিশিয়েন্স কোর।  চিপসেট টিতে গ্রাফিক্স সাপোর্ট হিসেবে আছে ৫ কোরের অ্যাপেল জিপিউ এবং এআই সবকিছু ম্যানেজ করার জন্য আছে ১৬ কোরের নিউরাল ইঞ্জিন। 

এবং আইওএস১৮ প্রো তে – হেক্সা কোরের এই প্রসেসরটিতে আছে ৬ টি সিপিউ কোর, ২ টি পারফরমেন্স কোর এবং ৪ টি এফিশিয়েন্স কোর।  চিপসেট টিতে গ্রাফিক্স সাপোর্ট হিসেবে আছে ৬ কোরের অ্যাপেল জিপিউ এবং এআই সবকিছু ম্যানেজ করার জন্য আছে ১৬ কোরের নিউরাল ইঞ্জিন।  যা আগের জেনারেশনের থেকে ২০% ফাস্টার। 

আইফোন ১৬ সিরিজের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এই অপারেটিং সিস্টেমটি। এই নতুন iOS-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল AI Powered Apple Intelligence. যার মাধ্যমে আইফোন ১৬-এর সবকিছু, অডিও থেকে ভিডিও, ক্যামেরা থেকে পারফরম্যান্স, এবং গেমিং থেকে শুরু করে সব কিছুই আরো উন্নত হয়েছে। এই AI প্রযুক্তি ফোনের বিভিন্ন সেন্সর এবং ডেটা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর পছন্দ বুঝতে পারে। এর ফলে ফোনটি ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেকে অ্যাডজাস্ট করে।  AI ক্যামেরার সেটিংসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এমনভাবে পরিবর্তন করতে পারে যাতে আপনি সবসময় সেরা ছবি তুলতে পারেন।  ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ এবং প্রসেসগুলিকে অপটিমাইজ করে যাতে ফোনটি আরও দ্রুত এবং স্মুথলি চলে। এবং গেমিং অভিজ্ঞতাকে আরও ইমারসিভ এবং রিয়েলিস্টিক করে তোলে।

ব্যাটারি সেকশনেও এবার থাকছে কিছুটা আপগ্রেড। প্রায় সবগুলো মডেলেই এবার থাকছে আগেরবারের তুলনায় বেশি ক্যাপাসিটি।

  • আইফোন ১৬: ৩৫৬১ মিলিএম্পিয়ার
  • আইফোন ১৬ প্লাস : ৪৬৭৪ মিলিএম্পিয়ার
  • আইফোন ১৬ প্রো : ৩৫৮২ মিলিএম্পিয়ার
  • আইফোন ১৬ প্রো মেক্স : ৪৬৮৫ মিলিএম্পিয়ার

ব্যাটারিগুলোকে ফাস্ট চার্জ করার জন্য থাকছে ২০ এবং ৩০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট এবং এবং ২৫ ওয়াট ওয়ারলেস চার্জিং সাপোর্ট। 

অন্যান্য ফিচার হিসেবে এবারের আইফোনে ই-সিম সুবিধার পাশাপাশি, থাকছে স্যাটেলাইট কানেকটিভিটি সাপোর্ট এবং ইমার্জেন্সি এসওএস মেসেজিং সাপোর্ট।

Similar Posts