এই-গরমে-এসি-নিয়ে-কিছু-টিপস

এসি চালানোর সঠিক নিয়ম

তিব্র গরমে এসি ব্যবহার করা প্রায় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তবে, এসি ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ। কিন্তু কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করে আপনি গরমে এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল কমানো এবং কিভাবে এসি সঠিক পদ্ধতিতে ব্যাবহার করতে পারবে আমরা এই ব্যাপারগুলো নিয়েই আলোচনা করবো ।

এসি কেনার আগে যা করনীয়:

ঘরের আকার:

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ঘরের আকার। খুব বড় ঘরে ছোট এসি লাগালে ঘর ঠান্ডা হতে অনেক সময় লাগবে এবং বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসবে। আবার ছোট ঘরে বড় এসি লাগালে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ খরচ হবে।

তাই, এসি কেনার আগে অবশ্যই ঘরের আকার বিবেচনা করুন। প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী: এসি কেনার সময় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্টার রেটিং অবশ্যই দেখে নিন। সর্বোচ্চ স্টার রেটিং এর এসি গুলি কম বিদ্যুৎ খরচ করে। বাজারে এখন অনেক ইনভার্টার এসি পাওয়া যায় যা আগের টেকনোলোজির এসি গুলির তুলনায় অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ইনভার্টার এসি কম বিদ্যুৎ খরচে ঘর শীতল রাখতে পারে। তাই ইলেকট্রিক বিল কমানোর ক্ষেত্রে ইনভার্টার এসি কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

এবং বাজারে দুই ধরণের এসি পাওয়া যায় – স্প্লিট এসি এবং উইন্ডো এসি। স্প্লিট এসিগুলি উইন্ডো এসিগুলির তুলনায় বেশি Smart এবং কম শব্দ করে। আর এগুলো ঠিক ঠাক মত নির্বাচন করতে পারবে আপনার বিল আসবে একদমেই কম। 

বিলের হিসাব

বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের নানান ধরনের এসি পাওয়া যায়। ১ টন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাপের এসি পাওয়া যায়। টনের পরিমাপ এসির লোড বোঝায় না, ঠান্ডা করার ক্ষমতাকে বোঝায়। যত বেশি টনের এসি, তত তাড়াতাড়ি ঘর ঠান্ডা হবে।

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১ স্টার থেকে ৫ স্টার পর্যন্ত পাঁচটি রেটিংয়ের এসি পাওয়া যায়। যত বেশি স্টার রেটিং, তত বিদ্যুৎ খরচ কম। কিন্তু স্টার রেটিং বাড়লে এসির দামও বেড়ে যায়। যেমন বর্তমান বাজারের স্মার্ট এসি ব্রান্ড গুলো যেমন গ্রী, মিডিয়া, হাইয়ার, হাইসেন্স বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সেরা।

একটি দেড় টন এসিতে লেখা থাকে ২ দশমিক ৫ কিলোওয়াট, অর্থাৎ ঐ এসি এক ঘণ্টা টানা চললে ২ দশমিক ৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে। এর থেকেই সারা মাসের এসির বিদ্যুৎ বিলের একটা ধারণা পাওয়া যায়। দিনে ৮ ঘণ্টা এসি চালালে প্রতি ঘণ্টার সঙ্গে ২ দশমিক ৫ গুণ করলেই কত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে তা জানা যায়। এভাবেই সারা মাসের বিদ্যুৎ বিলের আগাম হিসাব রাখা সম্ভব। সেক্ষেত্রে এসি কেনার আগে আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী হিসেব করলে অনেকক্ষেত্রেই বিল সম্পর্কে একটা ধারনা রাখা যায়। 

এসি সঠিক ভাবে ব্যাবহার করার ৮টি নিয়ম

১ । এসি সার্ভিসিং এবং ইনস্টলিং

এসির পারফরমেন্স ঠিক রাখতে এবং বিদ্যুৎ খরচ কমাতে নিয়মিত সার্ভিসিং করা অত্যন্ত জরুরি।দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে এসিতে ধুলো জমে ফ্যানের উপর চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়। ঢাকা শহরে ধুলাবালি বেশি হবার কারণে প্রতি ৩-৪ মাস অন্তর এসি সার্ভিসিং করা উচিত।

ইনডোর ইউনিটের পাশাপাশি আউটডোর ইউনিটও নিয়মিত পরিষ্কার ও সার্ভিস করা উচিত। বাইরের ইউনিটে বসানোর সময় যদি তা ঠিকভাবে না লাগানো হয় তবে বিদ্যৎ খরচ আরও বেড়ে য়ায়। সুতরং এসি লাগানোর পুর্বেও খেয়াল রাখতে হবে একজন দক্ষ টেকনিশিয়াল দ্বারা যেন এসি ইনস্টল করা হয়। এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকেব এসির বিল ৷

২। সঠিক তাপমাত্রা

এসি অন করে তার তাপমাত্রা অন্তত ২০ মিনিটের জন্য ১৬ ডিগ্রিতে কুইক কুল মোডে বা টার্বো মোডে রাখুন এবং তারপরে সেটিকে ২৪-২৫ ডিগ্রিতে সেট করুন। এমনটা করলেও ইলেকট্রিক বিল কম আসবে। ব্যুরো অফ এনার্জি এফিশিয়েন্সি-র একটি গবেষণা অনুযায়ী, এসি-র তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রিতে রাখা সবথেকে ভাল।

কারণ, এই তাপমাত্রা মানব শরীরের জন্য স্বস্তিদায়ক। শুধু তাই নয়। রিসার্চে আরও বলা হচ্ছে, এসি-র তাপমাত্রা যত বাড়ানো হয়, প্রতি ডিগ্রিতে ৬ শতাংশ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। তাই আপনার এসি ১৮ ডিগ্রির পরিবর্তে ২৪ ডিগ্রিতে চালিয়ে রাখলে ইলেকট্রিক বিল অনেকটাই বাঁচাতে পারবেন। এতে করে কম্প্রেসারে কম চাপ পড়বে। সাশ্রয় সবে বিদ্যুৎ বিলে।

৩। এসির সঙ্গে ফ্যানের ব্যবহার  

আপনার ঘর দ্রুত ঠান্ডা করতে এবং বিদ্যুৎ বিল কমাতে এসি এবং সিলিং ফ্যান একসাথে ব্যবহার করা খুবই উপকারি। এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করলে সারা ঘরে শীতল বাতাস তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়বে। যা এসিকে আরও কার্যকরভাবে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। ফলে, পুরো ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়। একই সময়ে এসি এবং সিলিং ফ্যান ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি অটো অবস্থায় এসির তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়াতে পারবেন। যা এসির একা শীতল করার কারণে সৃষ্ট অতিরিক্ত খরচ কমিয়ে দেবে। 

৪। প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাট 

আপনার এসির জন্য একটি প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাট ইনস্টল করে আপনি খুব সহজেই বিদুত বিল কমিয়ে আনতে পারবেন। প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাটগুলো কাস্টমাইজ করা টাইম অনুযায়ী এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। 

যেমনঃ  
দিনের বেলা যখন বাইরে গরম থাকে তখন আপনি থার্মোস্ট্যাটটি ২০°C এ সেট করতে পারেন। রাত ১২ টার পরে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২৫°C এ উঠে যেতে পারে, যা ঘুমানোর জন্য আরামদায়ক। সকাল ৭ টায়, আপনি এটিকে আবার ২০°C এ ফিরিয়ে আনতে পারেন।

আপনাকে এর জন্য বার বার তাপমাত্রা ম্যানুয়ালি নির্ধারণ করতে হবে না। এমনকি প্রোগ্রামেবল থার্মোস্ট্যাটগুলোর মাধ্যমে আপনার পছন্দমতো সময়ে এসি সয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধও করা যাবে। কিছু কিছু থার্মোস্ট্যাটে লার্নিং ফিচার রয়েছে যা আপনার রুটিন অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা সামঞ্জস্য করে।

তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত, ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা রাখলে আপনি আরও বেশি খরচ বাঁচাতে পারবেন। তাই চেষ্টা করবেন থার্মোস্ট্যাটে তাপমাত্রা যেন বেশিরভাগ সময় ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে। .৫এসি মেশিনে টাইমার ব্যবহার করুন

আজকাল সমস্ত এয়ার কন্ডিশনারই স্মার্ট ফিচার যুক্ত। তাই এসি মেশিনে টাইমার সেট করে দিন। তারপর ঘুমোতে যান। আপনি যেভাবে টাইমার সেট করবেন, ধরে নেওয়া যাক এক ঘণ্টা কিংবা ২ ঘণ্টা, সেই সময়ের পর এসি মেশিন নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ ঘরও ঠান্ডা থাকবে। আর বেশিক্ষণ টানা এসি চালু না থাকার ফলে খুব বেশি ইলেকট্রিক বিলও আসবে না। 

৫। দরজা-জানলা ভালভাবে বন্ধ করুন

যে ঘরে এসি চালাবেন সেখানে দরজা-জানলা ভালভাবে বন্ধ করুন এমনটা না করলে আপনার ঘরে গরম হাওয়া ঢুকতে থাকবে এবং ঘর ঠান্ডা হতে চাইবে না। এক্ষেত্রেই বাড়বে বিদ্যুতের বিলের পরিমাণ। তাই এসি চালানোর আগে ভালভাবে ঘরের দরজা, জানলা বন্ধ করে নেওয়া প্রয়োজন। 

আপনার ঘরের ফাঁকফোকর দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বের হয়ে গেলে এসি-কে আরও বেশি কাজ করতে হয়, যার ফলে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যায়। তাই, চেস্টা করবেন এর জন্য ড্রায়ার ভেন্ট, ঘরে প্রবেশ করা পাইপ, বৈদ্যুতিক আউটলেট, জানালা এবং দরজাগুলো ভালোমত সিল বা বন্ধ করতে। এর ফলে আপনি আপনার ঘর ঠান্ডা রাখতে পারবেন, এসি-র উপর চাপ কমাতে পারবেন এবং আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন।

৬। ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন

ফিল্টারে অতিরিক্ত ময়লা জমে গেলে রুম ঠান্ডা করার জন্য এসিকে অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে ইলেকট্রিসিটি বিলে। তাই, মাসে অন্তত একবার ফিল্টারটি বের করে ওয়াশক্লথ দিয়ে পরিষ্কার করুন। নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার করে আপনি আপনার এসির লাইফস্পান বাড়াতে পারেন। এবং এর ফলে আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন। 

৭। অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স বন্ধ

অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন টিভি, ফ্রিজ, ইলেট্রনিক ওভেন,ওয়াশিং মেশিন , ইনক্যান্ডেসেন্ট বাল্ব, ড্রায়ার এগুলো থেকে তাপ নির্গত হয়। ফলে রুমে এগুলো থাকলে ঘর ঠান্ডা হতে সময় লাগে বেশি। সম্ভব হলে এসি চালানোর আগে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে দিন। আপনি যখন এসি ব্যবহার করছেন না তখনও এই ডিভাইসগুলি স্ট্যান্ডবাই মোডে বিদ্যুৎ খরচ করতে পারে। তাই, যখন সম্ভব তখন পাওয়ার স্ট্রিপ ব্যবহার করে এই ডিভাইসগুলি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন।

৮। ঘরে মোটা পর্দা লাগিয়ে বিদ্যুৎ বিল কমান

আপনার ঘরে মোটা পর্দা লাগানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল কমাতে এবং আপনার ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে। মোটা পর্দা গরমের সময় বাইরের গরম হাওয়া এবং আলো ঘরে প্রবেশ রোধ করে। আপনার ঘরকে আরও ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে এসি-কে কম সময় চালাতে হয়। 

কিছু সাবধানতা

দৈহিক সমস্যা

চিকিৎসকের মতে, সারারাত এসি চালানোর ফলে দেহের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায় এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা বাড়তে পারে। যদি আপনি আর্থ্রাইটিসে ভুগতেন, তবে ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে। রাতে ঘুমার আগে কিছু সময় পূর্বে এসি বন্ধ করলে, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হতে পারে। অতএব, এসি বন্ধ করার পূর্বে খেয়াল করা জরুরি। আর প্রয়োজনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপমাত্রা এমনভাবে সেট করতে হবে যাতে বাইরের ও ঘরের আবহাওয়া একই হয়।

এসি দিনে কতো ঘণ্টা চালানো উচিৎ ?

এসি চালানোর উপযুক্ত সময় নির্ভর করে ঘরের আকার, এসির টনেজ, এবং ব্যবহারের উদ্দেশ্যের উপর। যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করা জেতে পারে-

ব্যাবহারের উদ্দেশ্যের উপর ঃ-

কারনসময়কখন
শুধু রাতে আরামের জন্য৬–৮ ঘণ্টাঘুমের সময় বা গরম কমাতে
দিনভর আরাম পেতে৮–১২ ঘণ্টাইনভার্টার এসি হলে ভালো, Timer ব্যবহার করলে ভালো
২৪ ঘণ্টা একটানা চালানোসম্ভব তবে সুপারিশযোগ্য নয়নিয়মিত ব্রেক দিন, রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি

টন অনুযায়ী ব্যাবহারের ক্ষেত্রে ঃ-

  • ১ টনের এসি (ছোট ঘরের জন্য) – দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা চালানো ভালো।
  • ১.৫ বা ২ টনের এসি (বড় ঘরের জন্য) – দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা একটানা চালানো যেতে পারে।

এসি বিস্ফোরণ

এসি বিস্ফোরণের কারণগুলো বেশ কিছু হতে পারে, এবং বেশিরভাগই ঘটে অসতর্কতামূলক ব্যবহার, নিম্নমানের যন্ত্রাংশ, কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। এসি বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণগুলো হতে পারেঃ-

  • ইলেকট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট
  • গ্যাস লিকেজ (Refrigerant Leakage)
  • কম্প্রেসরের ওভারহিটিং
  • ক্যাপাসিটার বিস্ফোরণ
  • নিম্নমানের ইনস্টলেশন বা সার্ভিসিং
  • ভেতরের ডাস্ট বা ক্লগিং

এসি থেকে পানি পরা

এসি বিস্ফোরণের মতো কিছু সাবধানতা অবলম্বন না করলে এসি থেকে পানি পরার মতও ঘটনা ঘটতে পারে, যার কারণ গুলো হতে পারে এমনঃ-

  • ড্রেন পাইপ ব্লক হয়ে যাওয়া
  • এভাপোরেটর কয়েল ময়লা হয়ে যাওয়া
  • এসি অতিরিক্ত ঠাণ্ডা হওয়া
  • ভুল বা খারাপ ইনস্টলেশন
  • হিউমিডিটি বেশি হওয়া
  • ড্রেন প্যান ফাটলে বা সরে গেলে পানি পড়া
  • রেফ্রিজারেন্ট (গ্যাস) কমে যাওয়া

এই টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি এই গরমে আপনার এসি ব্যবহারকে আরও স্মার্ট এবং কম খরচে করতে পারবেন। মনে রাখবেন, পরিবেশ রক্ষা এবং বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য এসি ব্যবহার কমানোও গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই এসি গুলো খুব সহজেই আপনি অর্ডার করতে পারবেন সরাসরি অ্যাপল গ্যাজেটস থেকে ।

Similar Posts