৩০ হাজার টাকার মধ্যে দুর্দান্ত ফিচারের ৫টি স্মার্টফোন

বর্তমান যুগে স্মার্টফোন হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। কাজ, বিনোদন, সামাজিক যোগাযোগসহ প্রায় সবকিছুতেই ফোনের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে ফোন কেনার ক্ষেত্রে বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ৩০০০০ টাকার মধ্যে একটি ভালো ফোন খুঁজে পাওয়া কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। প্রথমত বাজারে অসংখ্য মডেল এবং ব্র্যান্ড দ্বিতীয়ত বাড়তি দাম। 

এই ব্লগ পোস্টে আমরা ২০২৫ সালের জন্য ৩০০০০ টাকার মধ্যে বাজারের সেরা ফোনগুলোর তালিকা করেছি। ক্যামেরার মান, পারফরম্যান্স, ব্যাটারি লাইফ, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিচারসমূহ বিবেচনায় রেখে আমরা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করব। যদি আপনি এই বাজেটে একটি পারফেক্ট স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

৩০,০০০ টাকার মধ্যে ভালো ফোনের তালিকা

চলুন, দেখে নেওয়া যাক সেরা ফোনগুলোর বিবরণ!

১. Galaxy A35 5G

Galaxy A35 5G

Samsung Galaxy A35 5G হলো ৩০,০০০ টাকার মধ্যে একটি দারুণ স্মার্টফোন। এটি স্যামসাং-এর Galaxy A সিরিজের একটি নতুন সংযোজন, যা আপনার মাঝারি বাজেটে অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম। 

ফোনটির ৬.৬ ইঞ্চির FHD+ Super AMOLED ডিসপ্লে কেবল রঙে নয়, উজ্জ্বলতার দিক থেকেও প্রশংসনীয়। এর ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট স্ক্রলিং এবং গেমিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করে তোলে। ডিসপ্লের মধ্যে রয়েছে একটি ছোট পাঞ্চ-হোল ক্যামেরা, যা ফোনটিকে প্রিমিয়াম লুক দেয়। 

Galaxy A35 5G ফোনটি Exynos 1380 চিপসেট দ্বারা তৈরি। মাল্টিটাস্কিং, গেমিং, বা ভারী অ্যাপ ব্যবহার করার সময় ফোনটি কোনো ধরনের ল্যাগ করে না। Galaxy A35 5G তিনটি ভেরিয়েন্টে স্টোরেজ স্পেস অফার করেঃ 

  • 6/128GB
  • 8/128GB
  • 8/256GB

এছাড়াও মেমরি বাড়ানোর জন্য একটি মাইক্রোএসডি কার্ড স্লটও ব্যবহারেরও সুযোগ রয়েছে। 

এই ফোনটির ক্যামেরা সেটআপও প্রশংসার দাবি রাখে। ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড, এবং ৫ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স দিয়ে Galaxy A35 5G আপনাকে প্রিমিয়াম ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতা দিবে। ফোনটিতে UHD 4K (3840 x 2160) তে ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। সেলফি প্রেমীদের জন্য এতে ১৩ মেগাপিক্সেলের একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে। 

Galaxy A35 5G-তে রয়েছে একটি ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, যা একদিনের বেশি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। ফোনটি ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে যা দ্রুত চার্জ সম্পন্ন করবে। এছাড়াও ফোনটি 5G কানেক্টিভিটি সাপোর্ট করে।

কেন কিনবেন এই ফোনটি?

যদি আপনি ৩০,০০০ টাকার মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য এবং প্রিমিয়াম স্মার্টফোন খুঁজছেন, তবে Galaxy A35 5G হতে পারে আপনার সেরা অপশন। এর পাওয়ারফুল পারফরম্যান্স, উন্নত ক্যামেরা সেটাআপ, এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।

২. Redmi Note 13 Pro 5G

Redmi Note 13 Pro 5G

Redmi Note 13 Pro 5G হলো Xiaomi-এর একটি দুর্দান্ত বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন। এটি অসাধারণ ক্যামেরা সেটআপের জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যারা কম বাজেটে উন্নত সব ফিচারের অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাদের জন্য Redmi Note 13 Pro 5G-কে একটি আদর্শ একটি ডিভাইস হিসেবে ধরা যায়।

প্রথমত Redmi Note 13 Pro 5G একটি প্রিমিয়াম ডিজাইনে এসেছে যা প্রথম দর্শনেই নজর কাড়ে। পাশাপাশি ফোনটির ৬.৬৭ ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লে FHD+ রেজোলিউশনে ভিজ্যুয়াল কনটেন্টকে প্রাণবন্ত করে তোলে। ডিসপ্লেটির ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট স্ক্রলিং, গেমিং এবং ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে দেয়। এটিতে Gorilla Glass 5 সুরক্ষা থাকায় স্ক্রিনটি টেকসই এবং স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী। 

Redmi Note 13 Pro 5G ফোনটি Qualcomm Snapdragon 7 Gen 1 চিপসেট দ্বারা চালিত, যা অত্যন্ত শক্তিশালী। ফোনটির র‍্যাম ৮ জিবি থেকে ১৬ জিবি পর্যন্ত ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাবে। এছাড়াও ফোনের সাথে ১২৮, ২৫৬ ও ৫১২ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ তো থাকছেই। ভারী গেমিং, মাল্টিটাস্কিং বা বড় ফাইল সংরক্ষণসহ সবকিছুই এই ফোনে সহজ।

ফোনটির প্রধান আকর্ষণ এর ক্যামেরা। Redmi Note 13 Pro 5G-তে রয়েছে ২০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, যা স্পষ্ট এবং ডিটেলসহ ছবি তুলতে সক্ষম। সঙ্গে আছে ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স। এতে ভিডিও হবে সম্পূর্ন 4K তে। সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে, যা আপনাকে চমৎকার ছবি তোলার অভিজ্ঞতা দিবে। 

৫১০০ এমএএইচ ব্যাটারি সহ, Redmi Note 13 Pro 5G একদিনের বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। এতে রয়েছে ৬৭ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি, যা মাত্র ১৯ মিনিটেই ফোনটিকে ১০০ পার্সেন্ট চার্জ করতে পারে। 

ফোনটি ৫জি সাপোর্ট করে, যা দ্রুত ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং আপনার স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এছাড়া Wi-Fi 6, ব্লুটুথ ৫.২ এবং IR ব্লাস্টার সহ আরও বেশ কিছু আধুনিক কানেক্টিভিটি ফিচার রয়েছে।

কেন এই ফোনটি আপনার জন্য?

Redmi Note 13 Pro 5G এমন একটি ফোন, যা কম দামে আধুনিক এবং প্রিমিয়াম সব ফিচার দিয়ে থাকে। যদি আপনি ভালো ক্যামেরা, পাওয়ারফুল পারফরম্যান্স, এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি চান, তবে এটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দ হতে পারে।

৩. Galaxy M35 5G

Galaxy M35 5G

Galaxy M35 5G বাজেটের মধ্যে স্যামসাং-এর আরেকটি অসাধারণ সংযোজন। এটি হলো স্যামসাং-এর M সিরিজের একটি নতুন স্মার্টফোন, যা ৩০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। স্যামসাং-এর নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং আধুনিক ফিচারের সমন্বয়ে এই ফোনটি যারা বাজেটের মধ্যে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা চান, তাদের জন্য সেরা চয়েজ। 

Galaxy M35 5G-এর ডিজাইন সিম্পল কিন্তু স্টাইলিশ। ফোনটিতে ৬.৬ ইঞ্চির FHD+ Super AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে। ডিসপ্লেটিতে Gorilla Glass ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটি Exynos 1280 চিপসেট দ্বারা চালিত, যা স্যামসাং এর একটি শক্তিশালী প্রসেসর হিসেবে খ্যাত। মাল্টিটাস্কিং, গেমিং, এবং ভারী অ্যাপ ব্যবহার করার সময় ফোনটি মসৃণ ও হ্যাংবিহীন অভিজ্ঞতা প্রদান করে। Galaxy M35 5G-এ বর্তমানে ৬ জিবি অথবা ৮ জিবি RAM এবং ১২৮ জিবি অথবা ২৫৬ জিবি স্টোরেজের বিকল্প রয়েছে। এছাড়া এর স্টোরেজ মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো সম্ভব।

Galaxy M35 5G ফোনের ক্যামেরা সেটআপঅ অসাধারণ। এতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স এবং ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স। এই ক্যামেরাগুলো দিয়ে ডেলাইট এবং লো-লাইট উভয় অবস্থাতেই স্পষ্ট এবং প্রাণবন্ত ছবি তোলা যায়। সেলফির জন্য এতে ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে, যা সেলফিতে সেরা ছবি দিবে। 

মাত্র ২২২ গ্রাম ওজনের এই ফোনটিতে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, যা একদিনের বেশি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। ফোনটির ৫জি নেটওয়ার্ক সাপোর্টের পাশাপাশি NFC, ব্লুটুথ ৫.১, এবং Dolby Atmos অডিও সাপোর্ট এর মতো ফিচার রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে আনে।

কেন কিনবেন?

Galaxy M35 5G হলো এমন একটি স্মার্টফোন, যা স্যামসাং-এর ব্র্যান্ড মানের পাশাপাশি দারুন কিছু ফিচার দিয়ে থাকে। এর চমৎকার ক্যামেরা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং স্লিম ডিজাইন এটিকে ৩০,০০০ টাকার মধ্যে একটি দারুণ অপশন করে তুলেছে। যদি আপনি বাজেটের মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য ব্যান্ড মানের ৫জি ফোন খুঁজছেন, তবে Galaxy M35 5G হতে পারে আপনার জন্য সেরা পছন্দ।

৪. Motorola Moto G85 5G

Motorola Moto G85 5G

Motorola Moto G85 5G কে বাজেটের মধ্যে ফিচার-প্যাকড স্মার্টফোন বলা যেতে পারে। এটি এমন একটি ডিভাইস, যাতে রয়েছে কার্যক্ষমতা, স্টাইল এবং আধুনিক ফিচারের মেলবন্ধন। ৩০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া এই ফোনটি তাদের জন্য সেরা, যারা সত্যিকার অর্থেই একটি আধুনিক ফিচারসহ নির্ভরযোগ্য ও পাওয়ারফুল পারফরমেন্স সমৃদ্ধ স্মার্টফোন খুজছেন। 

Moto G85 5G ফোনটি স্টাইলিশ ডিজাইন এবং শক্তিশালী বিল্ড কোয়ালিটির সমন্বয়ে তৈরি। ফোনটির পিছনের মেটালিক ফিনিশ এবং স্লিম ডিজাইন প্রথম দর্শনেই নজর কাড়ে। এর ৬.৬৭ ইঞ্চির FHD+ LCD ডিসপ্লে এবং ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট স্ক্রলিং এবং ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরো মসৃণ করে।

Ram ও Storage এর দিক থেকে Moto G85 5G- এ রয়েছে তিনটি ভেরিয়েন্টঃ 

  • 128GB 8GB RAM
  • 256GB 8GB RAM
  • 256GB 12GB RAM 

এছাড়াও, মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে এর স্টোরেজ ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Qualcomm SM6375 Snapdragon 6s Gen 3 (6 nm) এর অত্যন্ত শক্তিশালী চিপসেট। 

Moto G85 5G ক্যামেরার ক্ষেত্রেও কম যায় না। এতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স। ক্যামেরাগুলো ডেলাইট এবং লো-লাইট উভয় অবস্থাতেই স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত ছবি তুলতে পারে। সেলফি প্রেমীদের জন্য  এতে থাকছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।

Moto G85 5G ফোনটিতে পাবেন Android 14 এর অভিজ্ঞতা, যা আপনাকে একটি ক্লিন ইউজার ইন্টারফেস নিশ্চিত করবে। এছাড়াও এর ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি সহজেই একদিনের বেশি ব্যাকআপ দিতে পারে। ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায়, যা অল্প সময়ে দ্রুত চার্জ হয়ে যায়।

কেন এই ফোনটি বিবেচনা করবেন?

Motorola Moto G85 5G একটি সাশ্রয়ী মূল্যেও চমৎকার ফিচার সরবরাহ করে। এর শক্তিশালী চিপসেট, উন্নত ক্যামেরা, এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এটিকে অন্য ব্র্যান্ডগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রেখেছে। যদি আপনি একটি ভালো পারফর্মিং ৫জি ফোন খুঁজছেন, তবে এটি আপনার জন্য একটি দারুণ অপশন।

৫. iQOO Z9S 5G

iQOO Z9S 5G

QOO Z9S 5G পারফরম্যান্স ও স্টাইলের অসাধারণ সংমিশ্রণ। ৩০,০০০ টাকার বাজেটে জনকপ্রিয় VIVO ব্যান্ডের এই ফোনটিকেও একটি প্রিমিয়াম ফিচার-প্যাকড স্মার্টফোন বলা চলে। শক্তিশালী পারফরম্যান্স, চমৎকার ক্যামেরা এবং দ্রুত চার্জিংয়ের সুবিধা নিয়ে এটি বাজারে একটি অন্যতম সেরা বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন। 

iQOO Z9S 5G-এর ডিজাইন অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ফোনটি স্লিম এবং মসৃণ হওয়ায় এটি দীর্ঘসময় ব্যবহারেও উপযোগী। এর ৬.৭৭ ইঞ্চির FHD+ AMOLED ডিসপ্লে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে, যা গেমিং, স্ক্রলিং এবং ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত। এই ডিসপ্লেটি HDR10+ সাপোর্ট করে, যা কালার ও কনট্রাস্টকে আরো ডিটেইলে তুলে ধরে। 

ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Qualcomm Snapdragon 778G+ প্রসেসর যা একটি শক্তিশালী প্রসেসর হিসেবে ক্ষ্যাত। মাল্টিটাস্কিং, হাই-এন্ড গেমিং বা ভারী অ্যাপ ব্যবহার, সবকিছুতেই ফোনটি দারুণ পারফরম্যান্স প্রদান করে। RAM ও স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট হিসেবে এটিতেও থাকছে তিনটি ভিন্নতাঃ 

  • 128GB 8GB RAM
  • 256GB 8GB RAM
  • 256GB 12GB RAM

QOO Z9S 5G ফোনটির ক্যামেরা সেটআপও দারুণ। iQOO Z9S 5G- এ ব্যবহৃত ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামের স্পষ্ট এবং ঝকঝকে ছবি তুলতে সক্ষম। পাশাপাশি সেলফির জন্য এর ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা আপনার চমৎকার ছবি তুলতে সহায়ক হবে। 

ফোনটিতে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি, যা একবার চার্জে পুরো দিন চলতে পারে। ৬৬ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধার মাধ্যমে এটি মাত্র ৪৫ মিনিটে প্রায় পুরোপুরি চার্জ হয়ে যায়। iQOO Z9S 5G ফোনটি ৫জি কানেক্টিভিটি তো সাপোর্ট করেই, সাথে রয়েছে ব্লুটুথ ৫.২, Wi-Fi 6, এবং NFC-এর মতো আধুনিক ফিচার । এছাড়াও এতে রয়েছে অন্সক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ফেস আনলক, যা আপনার নিরাপত্তাকে আরো মজবুত করবে। 

কেন iQOO Z9S 5G বেছে নেবেন?

যারা বাজেটের মধ্যে গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিং ব্যবহারের জন্য একটি ভালো মানের ফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য iQOO Z9S 5G সেরা চয়েজ। এর ফাস্ট পারফরম্যান্স, উন্নত মানের ক্যামেরা, এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এটিকে সেরা অপশনগুলোর একটি করে তুলেছে।

উপসংহার

৩০,০০০ টাকার বাজেটের মধ্যে স্মার্টফোনের বাজারে প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে, এবং প্রতিটি ব্র্যান্ডই ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণের জন্য নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসছে। উপরে বর্ণিত Galaxy A35 5G, Redmi Note 13 Pro 5G, Galaxy M35 5G, Motorola Moto G85 5G, এবং iQOO Z9S 5G প্রতিটি ডিভাইসই তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে আলাদা। আপনার প্রয়োজন এবং পছন্দ অনুযায়ী এই ফোনগুলোর মধ্যে থেকে সঠিকটি বেছে নিন এবং বাজেটের মধ্যেই আধুনিক সব ফিচারের অভিজ্ঞতা উপভোগ করুন।

Similar Posts