অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

আজকের ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু বাজারে আনঅফিসিয়াল ফোনের ছড়াছড়ি এতটাই বেশি যে, অফিসিয়াল ফোন চিনে নেওয়াটা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি কি জানেন, নকল বা আনঅফিসিয়াল ফোন ব্যবহার করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে? এমনকি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) এখন আনঅফিসিয়াল ফোনের সংযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে! তাই, আনঅফিসিয়াল ফোন কিনে অর্থ ও নিরাপত্তার ঝুঁকি না নিয়ে কীভাবে অফিসিয়াল ফোন চিনবেন, সে নিয়েই আজকের এই বিস্তারিত ব্লগ। 

এই ব্লগে আপনি শিখবেন, IMEI নম্বর চেক করা, ওয়ারেন্টি যাচাই, মার্কেট প্রাইস এনালাইসিস এবং নির্ভরযোগ্য বিক্রেতা থেকে ফোন কেনার সঠিক উপায়, যাতে আপনি নিশ্চিন্তে আসল ফোন কিনতে পারেন!

অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য

বাজারে স্মার্টফোন কেনার সময় আমরা প্রায়ই অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল (গ্রে মার্কেট) ফোনের মধ্যে পার্থক্য খুঁজতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। অনেকেই কম দামে ফোন পাওয়ার লোভে আনঅফিসিয়াল ফোন কিনে ফেলেন, কিন্তু পরে বুঝতে পারেন যে এটি বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে মূল পার্থক্য বোঝা অত্যন্ত জরুরি।

অফিসিয়াল ফোন কী?

অফিসিয়াল ফোন হলো সেইসব ফোন, যেগুলো ব্র্যান্ডের অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটর বা অথোরাইজড রিটেইলারদের মাধ্যমে বাজারে আসে। বাংলাদেশে BTRC (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) অনুমোদিত ফোনগুলোকেই অফিসিয়াল ফোন বলা হয়। এই ফোনগুলোর IMEI নম্বর BTRC-এর ডাটাবেসে নিবন্ধিত থাকে এবং এগুলো বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় নির্বিঘ্নে কাজ করে।

আনঅফিসিয়াল (গ্রে মার্কেট) ফোন কী?

আনঅফিসিয়াল বা গ্রে মার্কেট ফোন হলো এমন ফোন, যেগুলো অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরদের বাইরে অন্য মাধ্যম থেকে আমদানি করা হয়। এই ফোনগুলো সাধারণত কম দামে বিক্রি হয়, কারণ এগুলোর ওপর সরকার নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করা হয় না এবং কোনো অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি দেওয়া হয় না।

অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের প্রধান পার্থক্য

চলুন, নিচের চার্টের মাধ্যমে আরো স্পষ্টভাবে জেনে নেই অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে। 

বিষয়অফিসিয়াল ফোনআনঅফিসিয়াল ফোন
IMEI রেজিস্ট্রেশনBTRC-তে নিবন্ধিত থাকেবেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিবন্ধিত থাকে না
ওয়ারেন্টি সুবিধাঅফিসিয়াল ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস সেন্টারের সুবিধা পাওয়া যায়কোনো ওয়ারেন্টি বা ব্রান্ড সার্ভিস সেন্টারের সুবিধা নেই
দামসরকারি শুল্কসহ দাম নির্ধারিতসাধারণত কম দামে পাওয়া যায়
নেটওয়ার্ক সুবিধাসব মোবাইল অপারেটরের সিম কাজ করেকিছু ক্ষেত্রে সিম ব্লক হতে পারে
সফটওয়্যার আপডেটঅফিসিয়াল ফার্মওয়্যার ও সফটওয়্যার আপডেট পাওয়া যায়অনেক সময় সফটওয়্যার আপডেট পাওয়া যায় না বা থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ইনস্টল থাকে
বৈধতাসম্পূর্ণ বৈধআইনি জটিলতা থাকতে পারে

কেন অফিসিয়াল ফোন কেনা উচিত?

  • নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা: অফিসিয়াল ফোনে কোনো প্রকার সফটওয়্যার মডিফিকেশন করা থাকে না, যা ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • ওয়ারেন্টি সুবিধা: অফিসিয়াল ফোনে ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওয়ারেন্টি সুবিধা দেওয়া হয়, ফলে কোনো সমস্যা হলে সার্ভিস সেন্টার থেকে সহায়তা পাওয়া যায়।
  • নেটওয়ার্কের নিশ্চয়তা: BTRC নিবন্ধিত ফোনগুলোর নেটওয়ার্কে কাজ করার নিশ্চয়তা থাকে, ফলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না।
  • সফটওয়্যার আপডেট: অফিসিয়াল ফোন সবসময় ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল সফটওয়্যার আপডেট পেয়ে থাকে, যা ডিভাইসের পারফরম্যান্স ভালো রাখে।

অন্যদিকে, আনঅফিসিয়াল ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধাগুলো অনুপস্থিত বা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, কম দামে আকৃষ্ট হয়ে আনঅফিসিয়াল ফোন কেনার আগে অবশ্যই ভবিষ্যৎ সমস্যাগুলোর কথা বিবেচনা করা উচিত।

অফিসিয়াল ফোন চেনার কার্যকর উপায়

বাজারে নকল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কিছু সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার ফোনটি অফিসিয়াল এবং অনুমোদিত। আসুন, ধাপে ধাপে জেনে নিই অফিসিয়াল ফোন চেনার সঠিক উপায়।

১. IMEI নম্বর চেক করুন

IMEI (International Mobile Equipment Identity) নম্বর হলো প্রতিটি মোবাইল ফোনের জন্য নির্দিষ্ট একটি কোড, যা ফোনের বৈধতা প্রমাণ করে। বাংলাদেশে BTRC (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) এই কোড দিয়েই অফিসিয়াল ফোন নিবন্ধন করে, তাই আপনি সহজেই IMEI চেক করে নিশ্চিত হতে পারেন ফোনটি অফিসিয়াল কিনা।

মোবাইল এস এম এস পদ্ধতিতে IMEI নম্বর চেক করার উপায়:

  • ফোন থেকে *#06# ডায়াল করুন → স্ক্রিনে একটি অথবা দুইটি IMEI নম্বর শো করবে। অথবা ফোনের বক্সের স্টিকারেও IMEI নম্বর পাবেন। যেকোনো একটি IMEI নম্বর নোট করে রাখুন। 
  • এবার যেকোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে যেয়ে টাইপ করুন KYD এরপর স্পেস দিয়ে ১৫ সংখ্যার IMEI Number. উদাহরণস্বরূপঃ KYD  134567893456734
    এরপর মেসেজটি পাঠিয়ে দিন 16002 এর নাম্বারে। (SMS চার্জ প্রযোজ্য)
  • ফিরতি মেসেজে যদি বলা হয় “ডিভাইসটির IMEI বিটিআরসি’র ডাটাবেইজে পাওয়া গেছে তবে আপনার চেককৃত IMEI- এর ডিভাইসটি অফিসিয়াল। আর যদি ফিরতি মেসেজে বলা হয় “ডিভাইসটির IMEI বিটিআরসি’র ডাটাবেইজে পাওয়া যায়নি” তবে আপনার চেককৃত IMEI- এর ডিভাইসটি আনঅফিসিয়াল।

২. মোবাইলের বক্স ও স্টিকার যাচাই করুন

অফিসিয়াল ফোনের প্যাকেজিংয়ে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা আপনাকে অফিসিয়াল ফোন চিনতে সাহায্য করবে।

যা যা দেখবেন:

  • বক্সে বাংলাদেশের অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটরের স্টিকার আছে কিনা।
  • ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল হোলোগ্রাম বা কিউআর কোড দেওয়া আছে কিনা।
  • *#06# ডায়াল করে পাওয়া IMEI নম্বর ফোনের বক্সে দেয়া  IMEI নম্বরের সাথে মিলে যাচ্ছে কিনা।

যদি স্টিকার না থাকে বা নকল দেখায় অথবা IMEI নাম্বার না মিলে সেক্ষেত্রে ফনটি আনঅফিসিয়াল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৩. অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি চেক করুন

প্রত্যেক অফিসিয়াল স্মার্টফোনে নির্দিষ্ট সময়ের ওয়ারেন্টি সুবিধা থাকে, যা আনঅফিসিয়াল ফোনে নেই।

ওয়ারেন্টি যাচাই করার উপায়:

  • ফোন কেনার সময় ডিলারের কাছ থেকে অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি কার্ড নিন।
  • অনেক ব্র্যান্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সিরিয়াল নম্বর প্রবেশ করিয়ে ওয়ারেন্টি চেক করা যায়।
  • যদি বিক্রেতা “ফোনের কোনো ওয়ারেন্টি নেই” বলে, তবে এটি আনঅফিসিয়াল হবে।

৪. দাম ও বাজার যাচাই করুন

বেশিরভাগ আনঅফিসিয়াল ফোন বাজারে কম দামে বিক্রি হয়, কারণ এগুলোর ওপর শুল্ক পরিশোধ করা হয় না এবং এগুলো অনেক সময় রিফারবিশডও হতে পারে।

যা করবেন:

  • অফিসিয়াল ব্র্যান্ড ও অথরাইজড ডিস্ট্রিবিউটরের দামের সাথে মিলিয়ে দেখুন।
  • যদি একটি ফোন অস্বাভাবিক কম দামে পাওয়া যায়, তবে সেটি আনঅফিসিয়াল বা রিফারবিশড হবে।
  • বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য দোকান বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে বিশ্লেষন করুন।

আরও পরুনঃ১৫ হাজার টাকার মধ্যে সেরা মোবাইল ফোন

৫. ফোনের সফটওয়্যার ও OS যাচাই করুন

অফিসিয়াল ফোন সবসময় অরিজিনাল অপারেটিং সিস্টেম (OS) এবং ফার্মওয়্যার আপডেট পেয়ে থাকে।

যাচাই করার উপায়:

  • Settings → About Phone → Software Update অপশনে যান এবং ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল আপডেট আসছে কিনা দেখুন।
  • ফোনটি যে রম এর উপর রিলিজ হয়েছে সেটিই আছে কিনা চেক করুন। অনেক আনঅফিসিয়াল বা নকল ফোনে কাস্টম ROM বা পরিবর্তিত সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, যা পারফরম্যান্স ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

৬. অনুমোদিত দোকান বা ডিলার থেকে ফোন কিনুন

অফিসিয়াল ফোন কেনা শুধু মান ও নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি ভবিষ্যতে আপনাকে অনেক বড় সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই ফোন কেনার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য বিক্রেতা থেকে কেনার ব্যবস্থা করুন।

বিশ্বাসযোগ্য দোকান চেনার উপায়:

  • ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে Authorized Reseller বা Store Locator চেক করুন।
  • ফিজিক্যাল দোকানে কেনার সময় ডকুমেন্ট ও ওয়ারেন্টি কার্ড চেক করুন।
  • অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে ফোন কিনলে বড় এবং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে কিনুন। এক্ষেতে কাস্টমার রিভিউও দেখে নিতে পারেন। 

Apple Gadget বাংলাদেশে অন্যতম নির্ভরযোগ্য মোবাইল ও এক্সেসরিজ বিক্রেতা, যারা শতভাগ ওরিজিনাল ও অফিসিয়াল স্মার্টফোন সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়। এখানে আপনি BTRC অনুমোদিত ও ব্যান্ড ওয়ারেন্টি যুক্ত ফোন পাবে। শুধু তাই নয়, Apple Gadget গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ও অফার দিয়ে থাকে, যা আপনাকে সেরা দামে প্রিমিয়াম ডিভাইস কেনার সুযোগ দিবে। তাই নকল বা আনঅফিসিয়াল ফোনের ঝুঁকি না নিয়ে Apple Gadget থেকে নিশ্চিন্তে আপনার পছন্দের ফোনটি কিনুন!

নকল ও আনঅফিসিয়াল ফোন কেনার ঝুঁকি

অনেকে কম দামের লোভে আনঅফিসিয়াল বা নকল ফোন কিনে ফেলেন, কিন্তু এটি ভবিষ্যতে নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। অফিসিয়াল ফোন কেনার গুরুত্ব বোঝার জন্য, আসুন দেখে নেই নকল বা আনঅফিসিয়াল ফোন ব্যবহারের প্রধান ঝুঁকিগুলো।

নেটওয়ার্ক ব্লক বা নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা

বাংলাদেশে BTRC (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) আনঅফিসিয়াল ফোনের নেটওয়ার্ক সংযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। এর ফলে, আপনি যেকোনো সময় মোবাইল অপারেটর দ্বারা ব্লক হয়ে যেতে পারেন ফলে ফোনটি অকার্যকর হয়ে যাবে।

সফটওয়্যার আপডেট ও নিরাপত্তা ঝুঁকি

নকল বা আনঅফিসিয়াল ফোনে অনেক সময় কাস্টম ROM বা পরিবর্তিত সফটওয়্যার থাকে, যা অফিসিয়াল আপডেট পাবে না এবং এতে সাইবার হ্যাকিং এর ঝুঁকিও রয়েছে।

ব্যক্তিগত তথ্য চুরির সম্ভাবনা

অনুমোদিত সফটওয়্যার ছাড়া আনঅফিসিয়াল ফোনে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার থাকতে পারে, যা আপনার ব্যাংকিং তথ্য, ব্যক্তিগত ছবি ও মেসেজ হ্যাক করার ঝুঁকি সৃষ্টি করে। 

ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবার অভাব

অনেক সময় আনঅফিসিয়াল ফোনে কোনো ওয়ারেন্টি বা অফিশিয়াল সার্ভিস সাপোর্ট থাকে না। ফোন নষ্ট হলে আপনাকে নিজের টাকায় সার্ভিস করাতে হবে, যা অনেকক্ষেত্রে ব্যয়বহুল হতে পারে।

কম পারফরম্যান্স ও কম টেকসই

নকল বা আনঅফিসিয়াল ফোনে অনেক সময় লো-গ্রেড হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যাটারি ড্রেন, গরম হয়ে যাওয়া বা পারফরম্যান্স কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

স্বল্প খরচের জন্য আনঅফিসিয়াল ফোন কেনা আর্থিক ও নিরাপত্তাগত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই, একটু বেশি টাকা খরচ করে হলেও অফিসিয়াল ফোন কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।

একটি স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে শুধু ডিজাইন ও ফিচারের দিকে মনোযোগ দিলেই হবে না, সেটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল তা যাচাই করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আনঅফিসিয়াল বা নকল ফোন ব্যবহার করলে আপনি নেটওয়ার্ক ব্লক হওয়া, সফটওয়্যার আপডেট না পাওয়া, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং ওয়ারেন্টি সুবিধা না থাকার মতো নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।

তাই, কম দামের লোভে আনঅফিসিয়াল ফোন না কিনে অফিসিয়াল ফোন কিনুন। এটি শুধু আপনার ডিভাইসের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে না, বরং আপনাকে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত রাখবে। 

Similar Posts